দ্বীনি ফতোয়া অ্যাপ ডাউনলোড করুন!

মহররম মাসের ফজিলত

 

মহররম হলো ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস এবং এটি চারটি সম্মানিত (হুরমতের) মাসের একটি। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে মহররম মাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও ফজিলতের মাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই মাসটি ইসলামের ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী, বিশেষ করে আশুরার দিন (১০ই মহররম)।

 

কুরআনের আলোকে মহররমের ফজিলত

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:

 

“নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মাসসমূহের সংখ্যা বারটি, আল্লাহর কিতাবে যেদিন তিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত মাস…”

— (সূরা আত-তাওবা: ৩৬)

 

এই চার সম্মানিত মাসের মধ্যে মহররম অন্যতম। একে “শাহরুল্লাহিল মহররম” বলা হয়, অর্থাৎ “আল্লাহর মাস”।

 

হাদিসের আলোকে মহররমের ফজিলত

রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন:

 

“রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস, মহররমে রাখা রোজা।”

— (সহীহ মুসলিম)

 

আবার ১০ই মহররম, যাকে “আশুরা” বলা হয়, সে দিনের রোজার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন:

 

“আশুরার দিনের রোজা বিগত বছরের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়।”

— (সহীহ মুসলিম)

 

আশুরার তাৎপর্য

ইসলামি ইতিহাসে ১০ মহররমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম:

 

হজরত মূসা (আ.) ও বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পান

 

হজরত হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন

 

করণীয়

এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা

 

তওবা, ইস্তিগফার ও নেক আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া

 

আশুরার দিন (১০ মহররম) রোজা রাখা, তার সাথে ৯ বা ১১ তারিখও রোজা রাখার চেষ্টা করা

 

উপসংহার

মহররম শুধু একটি নতুন হিজরি বছরের সূচনাই নয়, বরং তা একজন মুসলমানকে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের অনুপ্রেরণা জোগায়। এ মাসে আমাদের উচিত আল্লাহর নৈকট্য লাভে সচেষ্ট হওয়া এবং নবীজীর আদর্শকে স্মরণ করা।