রোজা: আত্মসংযমের ইবাদত
রোজা ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। এটি প্রতি বছর রমজান মাসে পালন করা হয়। রোজা মানে শুধু উপবাস থাকা নয়, বরং আত্মসংযম, নৈতিক উন্নয়ন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা।
রোজা কাকে বলা হয়?
রোজা বা সাওম হলো সুবহে সাদিক (ভোর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো খাবার, পানীয় ও যৌন সম্পর্ক থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা, এবং মনের সকল খারাপ চিন্তা ও কাজ থেকে নিজেকে সংযত রাখা।
রোজা রাখার শর্ত
- মুসলমান হওয়া
- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
- সুস্থ ও মুকিম (ভ্রমণে না থাকা) হওয়া
- নিয়ত করা
রোজার সময়সূচি
- সাহরি: ভোরের আগে খাওয়া
- ইফতার: সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙা
রোজার উদ্দেশ্য
- তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন
- আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য চর্চা
- গরিবদের কষ্ট অনুধাবন
- সামাজিক ঐক্য ও সহানুভূতির চর্চা
রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ
- ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানীয় গ্রহণ
- স্ত্রী সহবাস
- বমি করা (ইচ্ছাকৃত)
- হিংসাত্মক বা গালমন্দপূর্ণ আচরণে লিপ্ত হওয়া (পুণ্য নষ্ট করে)
রোজার উপকারিতা
- আত্মিক পরিশুদ্ধি
- শারীরিক উপকারিতা (ডায়েট ও নিয়ন্ত্রণে সহায়ক)
- ধৈর্য, সহানুভূতি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি
- পরকালীন মুক্তির আশা
রমজান মাসের বিশেষতা
- কুরআন নাজিলের মাস
- লাইলাতুল কদরের মহিমা
- দোয়া কবুল হওয়ার মাস
- যাকাত ও দান করার শ্রেষ্ঠ সময়
উপসংহার:
রোজা শুধু উপবাস নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আত্মিক অনুশীলন। একজন মুসলমান রমজানের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা অর্জন করতে পারেন। এই ইবাদত জীবনে ভারসাম্য ও নিয়মানুবর্তিতা শেখায়।